Objective

আমার এই ব্লগের  লক্ষ্য  ও উদ্দেশ্য  আসলে একদম পরিস্কার যা হল মানুষের মধ্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করা  । জানি কাজটি হয়ত এত সোজা না ,তবে চেষ্টা থাকবে স্বপ্ন  নিয়ে এগিয়ে যাব যে স্বপ্ন দেখেছিলাম খুব ছোট থেকে  এ দেশ হবে পৃথিবীর পরাক্রমসালি দেশের একটি। আমি যে সপ্ন্ টার কথা লিখছি তা হয়ত দেশের ৯৯%  মানুষ্ দেখে কিন্তু সবাই আবার আমার মতই ভাবে আমাদের হাত পা বাধা আমরা চাইলেও কিছু করতে পারব না।
এ কথা যখন লিখছিলাম তখন আমেরিকার একটি রেডিওতে বিজ্ঞাপন শুনতে পেলাম যার শেষ লাইন হল ' Do not throw garbaze anywhere. help us to recycle it and make america healthy for living'. আমেরিকার মত দেশে যদি রেডিও তে এমন এড চলতে পারে তবে আমাদের দেশে কেন গণসচেতনতামূলক এ এড চলতে পারে না। এখন কি মনে হচ্হে না আসলে আমাদের অনেক কিছুই করার আছে যা আমরা কখনো অনুভবই করি না। হয়ত এই অনুভুতি হওয়ার আগে ই অনেকে এই ধরিত্রী ছেড়ে মহান আল্লাহ তালার কাছে পৌছে যান ,জানি না  ওপরে এই অনুভতিহীনতার কি শাস্তি বরাদ্দ আছে তবে শাস্তি যে আছে এতে আমার কেন বোধ করি কারোই সন্দেহ থাকার কোনো অবকাশ নাই।
পর সমচার এই যে,আমরা যে জাতি  হিসবে খুব একটা উন্নত না তাতে কোনো সন্দেহ নাই, তাই অন্যের ভলো হবে তা হয়ত আমরা চিন্তা করি না কিন্তু নিজের ভালোটাও যদি আমরা সঠিক ভাবে চিন্তা করতাম তা হলে হয়ত আমরা উন্নত দেশের একটি হতাম। যেমন আমরা সুযোগ পেলেই আয়কর ফাকি দেই কিন্ত কখনো ভাবি না এই  আয়কর আবার আপনার আর আমার কাছেই ফিরে আসবে? অনেকে হয়ত ভাবছেন এসব নীতিবাক্য আমাদের দেশে প্রযোজ্য নও,কারণ যে দেশে এনবিআর আর   সিটি কর্পোরেসন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা এই রাজস্বের  একটা অংশ নিয়ে দেশের এক বিরাট অংশের ক্ষতি করে ফেলে,সেই কর্মকর্তা বা  কর্মচারী হয়ত সামান্য লাভবান হয় তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যিনি ঘুষ দিচ্ছেন তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হন সবচেয়ে বেশি কারণ তিনি যে ঘুষ দিচ্ছেন তা হয়ত তার সেই রাজস্বের সমান না হলেও খুব ই কাছাকাছি আর তাও আবার এই ঘুষগুলো শুনেছি চেইন বিক্রিয়ার মত শুরু হয়  মৃত্যু দিয়ে শেষ হলেও বংশগতিবিদ্যা দিয়ে হাজার বছর বেচে থাকে। মকবুল বুড়োর জায়গায়  মনতু এরপর মনতুর ছেলে এসে হাজার বছরে  ধরে আবুলের মত ঘুসখোরদের লালনপালন করে দেশের দুর্গতির কান্ডারী হয়ে থাকছে। আবার সেই অসৎ কর্মকর্তা বা  কর্মচারীরা দুদুক বা  মন্ত্রীদের ঘুষ দিয়ে দেশের সব জায়গায় সাম্যবস্থা বজায় রাখে। অর্থাৎ  একজন পিওন থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত  সচিব বা মন্ত্রী পর্যন্ত আমরা সবাই আজ দুর্নীতিগ্রস্থ। এমন দেশে উন্নয়ন কি আদৌ সম্ভব ?????????
প্রতিদিন রাস্তায় বের হলে নানা অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলা কেমন যেন আমার মানব মনকে বিষিয়ে তোলে, মনে হয় আমরা চাইলেই এই সামান্য বিশৃঙ্খলতা  অতিক্রম করে একটা সুশ্রী জাতি হতে পারি।তবে আমার  মনে হয় আমরা যে যার অবস্থানে একটা আইন বানিয়ে নি যার ফলে রাস্তায় নামলে দেখতে পাই আইন ভাঙ্গার একটি চমতকার প্রতিযোগিতা। মজার ব্যাপার হলো আমাদের  জায়গা পরিবর্তনের  সাথে কেমন যেন  চরিত্র ও পরিবর্তন হয়ে যায়। রাস্তায় আমাদের বাসের যাত্রীদের একটা সাধারণ অভ্যাস হলো অজস্র বকাবকি করা, মজার ব্যাপার হলো, সে দিন একজন বাস চালককে সাধারণ যাত্রীর আসনে  দেখে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না কারণ তিনি নিজেও সমানে বর্তমান চালককে বকাবকি করে যাচ্ছেন অনুর্গল ভাসায়  দিধাহীন চিত্তে। ছোট একটা উদহারণ দিলাম এই চরিত্র আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র জীবনে খুবই সাধারন ঘটনা। সরকার দলে থাকলে আমরা ভুলে যাই বিরোধী দলে থাকাকালীন সময় তার অবস্থান ??আর বিরোধী দলে থাকাকালীন ও খুব একটা উন্নত থাকি না। তাই রাজনীতি থেকে খুব একটা উন্নতি করতে পারব না তা শুধু  আমি কেন  জনতার মঞ্চে দাড়ানো রাজনীতিবিদ ছাড়া সবাই এমন কি একটা শিশু বাচ্চাও বোঝে। শিশুর কথা বলতে সাবেক সচিব সা'দত হোসেইন-এর কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটা কলামের কথা মনে পড়ে   গেল, তার মতে  আমরা মাত্র নিম্নমধ্যবিত্ত দেশের তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছি  আর মধ্যবিত্ত হতে আজ ঢের  দেরী (২০৩০ সালে হয়ত মাথাপিছু আয় ৪০০০$) তাও যদি এই হারে প্রবৃধি থাকে ,তার মতে  এটা অসম্ভব  কিছু না  কারণ বাংলাদেশের বর্তমানে বাজার অর্থনীতি বা কৃষি বা প্রাইভেট সেক্টরের যে অবস্থা তাতে  একজন শিশু বা আনাড়ি কাউকেও যদি এখন ক্ষমতায় দেওয়া হয় তবে সেও হয়ত এই প্রবৃধি রাখতে পারবে। যাই হোক আমার আলোচনার বিষয়বস্তু আসলে রাজনীতি নয় কারণ  রাজনীতি আমার কাছে সবসময় অদ্ভুত কোনো মানুষখেকো সমাজের উপদান বলে মনে হয় তাই সে  অদ্ভুত  বস্তু দিয়ে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব  বলে আমার আদৌ  মনে হই নি বা সামনে হবে বলেও মনে হয় না,  তাই ও বিষয় নিয়ে কথা না বলাটাই যৌক্তিক মনে করছি। তারা চাইলেও কোনো পরিবর্তন আসবে না যদি আমরা প্রত্যেকে পরিবর্তন না হই। আইন মেনে না চলার যে বদভ্যাস  আমাদের হয়েছে তা কারো পক্ষেই বোধ করি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।  উদাহরণসরূপ আমাদের দেশে আইন আছে রাস্তা পারাপারের সময় ওভারব্রীজ ব্যবহারের কিন্তু যে আইনটি না মানার ব্যাধি আমি শিক্ষিত লোকের মাঝেই সবচেয়ে বেশি দেখেছি। আমরা শুধু অর্থনৌতিক ভাবে মিডল ক্লাস হতে চাই না কাজে কর্মেও হতে চাই, না হলে ছোট বেলা থেকে বইয়ের বোঝা কাধে নেয়ার সুফল কিছুই আসবে  না বরং কুফল আসবে বহগুন বেশি। আসলে আমাদের শিক্ষার পদ্ধতিটি অতি অদ্ভুত কারণ এতে পুস্তকের জ্ঞানটুকু গলাধকরণের মাধ্যম মস্তিস্কে গিয়ে নিউরোসিস্টেমের আদেশ মোতাবেক হরমন সাহেবেরা কলমের আগায় পৌছাতে সমর্থ হলেও বিবেকসহ বাকি অঙ্গ প্রত্যঙ্গে পৌছানোর যে গুরুদায়িত্ব তাকে দেয়া হয়েছিল তার কথা সে(নিউরোসিস্টেম) বেমালুম ভুলে যায়, তাই বিবেকের অভাব আমাদের বাকি অঙ্গপ্রতঙ্গে স্পষ্ঠ প্রতিভাত হয়।

   যাইহোক হাজারো সমস্যা হয়ত আমাদের আছে তবে এমন নয় যে  আমাদের গর্ভ করার কিছু নাই, তাও আছে কিন্তু কেন যেন  আমরা পুরো জাতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মত  ক্লিক করতে পারছি না। তাই আমার ব্লগের নয় বোধ করি ১৬ কোটি মানুষের ই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

                      ব্যক্তি --পরিবার -- সমাজ ---গ্রাম --দেশ 

যে ভাবেই আপনি ব্যাখ্যা  করেন পৃথিবীতে এ কাজটি করার  চেষ্টাটুকুও যদি না করতে পারি তাহলে সেই অনুভতিহীন মানুষের মত আপনি আর আমিও হয়ত বিদায় নিবো।

        কিন্তু একবার ভেবে  দেখুন এই পৃথিবীতে আমাদের আসার উদ্দেশ্য কি???? 


1 comment:

  1. what a nice blog it is.i am really happy to see this

    ReplyDelete