DifferentLinks

  1. Google
  2. prothom-Alo
  3. Techtunes
  4. Dhaka Stock Exchange 
আশা করি সবাই ভালো আসেন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট নিয়ে আজকের এই টিউন শুরু করলাম।
* কেন ডিভাইস রুট করব?
ডিভাইস রুট করার কারণ একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে। কেউ ডিভাইসের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বা ইন্টারনাল মেমোরি ফাঁকা করার জন্য রুট করে থাকেন, কেউ ওভারক্লকিং করার মাধ্যমে ডিভাইসের গতি বাড়ানোর জন্য রুট করেন, কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করা ডেভেলপারদের তৈরি বিভিন্ন কাস্টম রম ব্যবহার করার জন্য, কেউ বা আবার রুট করার জন্য রুট করে থাকেন। আমি নিজেও প্রথম রুট করেছিলাম কোনো কারণ ছাড়াই। লিনাক্স ব্যবহার করি বলে বিভিন্ন সময় রুট হিসেবে অনেক কাজ করেছি কম্পিউটারে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে রুট পারমিশন না থাকায় একটু কেমন যেন লাগছিল। তাই রুট হওয়ার জন্য রুট করেছিলাম।
পরে অবশ্য পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে শুরু করেছি যেগুলো রুট করা ডিভাইস ছাড়া কাজ করে না। তবে সেসব নিয়ে পড়ে কথা হবে। চলুন আগে এক নজর দেখে নিই রুট করার সুবিধা ও অসুবিধা।
রুট করার সুবিধাগুলোঃ
পারফরমেন্স বাড়ানোঃবিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা।
ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।
আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।
কাস্টম রম: ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।
রুট করার অসুবিধাগুলোঃ
ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।
ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।
যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার জন্য নিচের অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন
Download iRoot 2.2.1


আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখে থাকেন (ঘুমে নয় বাস্তবে) তাহলে এই টিউনটি  আপনার জন্য। টিউনটি পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সুট করবে কি করবেনা। যদি সুট করে তাহলে টিউনটি ফলো করে এগিয়ে যান আর নয়তো এখানেই থেমে যান। স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে অন্য কাজে মনোযোগ দিন।
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কি?
এমন কাজ যা কিছু ব্যক্তির দ্বারা সম্পন্ন করা হয় যারা একাডেমিক মৌলিক জ্ঞান অর্জন করার পর টেকনোলজিতে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ হওয়ার পর ঘরে বা ইচ্ছেমত পৃথিবীর যেকোন জায়গাতে বসে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দিয়ে অর্থ আয় করার প্রক্রিয়াই আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং। সহজভাবে, ঘরে বসে অন্যের কাজ করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করার প্রক্রিয়াই ফ্রিল্যান্সিং।
আপনার কি কি যোগ্যতা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে
মিডিয়াম লেভেলের ইংরেজি জানতে হবে, মিনিমাম ইংরেজি আর্টিকেল পড়ে বুঝার এবং নিজ থেকে কিছু বলার বা লিখার ক্ষমতা রাখতে হবে, না হয় কঠোর সাধনা করে অর্জন করতে হবে।
কম্পিউটার ও টেকনোলজি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন: অপারেটিং সিস্টেমস, পিসি সেট-আপ, ট্রাবলশুটিং, সফটওয়্যার ইন্সটেলেসান, মাইক্রোসপ্ট অফিস, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
নির্দিষ্ট কোন একটি প্রোগ্রামে দক্ষ হতে হবে। সেটা হতে পারে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, এস.ই.ও, আর্টিকেল রাইর্টি, থ্রীডি এনিমেশন বা অন্য কোন মার্কেট ডিমান্ডেবল প্রোগ্রাম।
ধৈর্য্যের উপর ধৈর্য্য থাকতে হবে। কাজ শিখার জন্য সঠিকভাবে এগিয়ে গেলে সময় লাগবে মিনিমাম এক বছর। কাজে প্রফেশনালিজম আসতে ও কাজ করে হ্যান্ডসাম আয় করতে আরো এক বছর ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। এটা মনে রাখবেন সফল কেউ এক বছরেও হতে পারে কেউবা ৫ বছরে। এটা চাকুরী বলেন, ব্যবসা বলেন বা প্রবাস, সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
উপরের চারটি যোগ্যতা যদি আপনার থাকে তাহলে আপনার স্বপ্ন বাস্তব হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমার পরবর্তী লিখা ফলো করুন আর স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে থাকেন। আর যদি যোগ্যতাগুলো না থাকে তাহলে প্রথমে এগুলো অর্জন করুন তারপর স্বপ্ন দেখুন। আর যদি অর্জন করতে না পারেন বা পারবেন না বলে মনে হয় তাহলে অন্য কাজ দেখুন। আপনাকে দিয়ে আর যাই হোক ফ্রিল্যান্সিং হবে না। এখানে আপনার জন্য ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নেই।
যদি উপরের গুণাবলিগুলো আপনার থাকে তাহলে... সংগ্রহ করুন...
একটা কম্পিউটার ইন্টারনেট সংযোগসহ (মিনিমাম ডুয়েল কোর, কোর আই থ্রী বা তার উপরে হলে ভাল হয়)।
নিরিবিলি প্রাইভেট রোম (যেখানে ২৪ ঘন্টা কাজ করা যায়, কেউ ডিস্টার্ব করবে না এমন)।
কিছু টাকা যাতে মিনিমাম ছয় মাস চলা যায় কোন টেনশন ছাড়া।
যে সব সাইটে সাইন আপ করতে হবে...
upwork.com
envato.com
অন্যান্য
এ ছাড়া আরো অনেক সাইট আছে যেগুলিতে সাইন আপ করে কাজের জন্য বিড় করা যায় বা নিজের দক্ষতাকে বিক্রি করা যায় তবে আমি যেগুলো নিয়ে কাজ করিনা বা ভালভাবে জানিনা সেগুলো নিয়ে কিছু বলব না।
upwork:
প্রথমে সাইন-আপ করে নিন। সবকিছু দিয়ে প্রোফাইল ১০০% করুন। সবকিছু সঠিক তথ্য দিন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি যে কাজে দক্ষ সে কাজে দক্ষ এমন কারো প্রোফাইল দেখে নিজেরটা নিজে তৈরি করুন। কোনভাবেই কপি পেষ্ট করবেন না। পরীক্ষা দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করুন। নিজের তৈরি করা সেম্পল কাজগুলো পোর্টপোলিও হিসেবে যোগ করুন। এখন আস্তে আস্তে কাজে বিড করুন। কাজের বর্ণনা পড়ে যে কাজটা আপনি পারবেন বলে মনে হয় কেবলমাত্র সেটাতেই বিড করুন।

No comments:

Post a Comment